ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল প্রসঙ্গে যা বললেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
আপলোড সময় :
১০-০৪-২০২৫ ০২:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১০-০৪-২০২৫ ০২:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, ভারতের বন্দর ব্যবহার করে অন্য দেশে পণ্য রফতানির জন্য বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় কোনো সমস্যা হবে না।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশের ভারতের ট্রানশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করার বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, হঠাৎ করে ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করেছে ভারত। তবে সমস্যা হবে না। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সংকট কাটাতে চেষ্টা করব। বাণিজ্যিক সক্ষমতা আরও বাড়াব।
গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে নোটিশ জারি করে ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস। ফলে এখন থেকে ভারতের বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রফতানি করতে পারবে না বাংলাদেশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, ভারতীয় স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে বন্দর এবং বিমানবন্দর দিয়ে তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানির জন্য এই সুবিধা পেত বাংলাদেশ।
২০২০ সালের জুনে বাংলাদেশকে পণ্য রফতানির এই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিয়েছিল ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ট্রিবিউন বলছে, রফতানির ক্ষেত্রে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের ব্যাখ্যায় সংবাদ সম্মেলনের পাশাপাশি একটি বিবৃতিও দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন
তবে এ ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের কারণ জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ট্রিবিউন বলছে, রফতানির ক্ষেত্রে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের ব্যাখ্যায় সংবাদ সম্মেলনের পাশাপাশি একটি বিবৃতিও দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে দাবি করা হয়, বাংলাদেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দেওয়ার কারণে ভারতের বিমানবন্দর ও অন্য বন্দরগুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাপক জট দেখা যাচ্ছে। লজিস্টিক সহায়তা পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে এবং ব্যয়ও বেড়েছে। ফলে দেশের অর্থনীতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং বন্দরে অনেক পণ্য দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকছে। যার কারণে ৮ এপ্রিল থেকে এই সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : mainadmin
কমেন্ট বক্স